কাঁচা ও পাকা তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আপনি কি কাঁচা অথবা পাকা তেতুল খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে ভাবছেন।তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন।আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কাঁচা অথবা পাকা তেতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।এছাড়াও গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও তেতুলের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের মাঝে একটি স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
কাঁচা অথবা পাকা তেতুলের স্বাদ পছন্দ করেন না,নাম শুনলেও মুখে জল আসে না,এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।নারী পুরুষ নির্বিশেষে টক মিষ্টি তেতুল সবারই পছন্দের।ফুচকার টক বা দই বড়ার স্বাদ বাড়ানো,গরমে প্রাণ জুড়ানো শরবত কিংবা গরম গরম তেঁতুলের চা,যাই বলেন না কেন,মুখে স্বাদ বাড়াতে তেতুল সেরা।এছাড়াও চাটনি,সস, ও বিভিন্ন রান্নার স্বাদ বাড়াতে তেতুলের জুড়ি নেই।
বিস্তারিত শুরু করার পূর্বে সূচিপত্র দেখে নিনঃ
তেতুলের পরিচিত
তেতুলের পরিচিতি সম্পর্কে আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা জানেন না বা অবগত না।কিন্তু তেঁতুল খেতে আমরা সকলেই কম বেশি পছন্দ করে থাকি।টক মিষ্টি স্বাদের একটি ফল হল তেঁতুল।বাহিরের শক্ত খোসার আবরণের ভেতরে বীজসহ রসালো তেতুল ফল দেখতে অনেকটাই খেজুরের মত।
কাঁচা অবস্থায় ভীষণ টক হলেও পাকার সঙ্গে সঙ্গে তেঁতুল ফলে আসে মিষ্টতা।তেতুল সাধারণত একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল।তেতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি,ভিটামিন সি,পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম, ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
তাইতো শুধু মুখের স্বাদ বৃদ্ধি নয়,শারীরিক অনেক ক্ষেত্রেও উপকারী ভূমিকা রাখে তেতুল ফল।তাছাড়াও তেতুল ফল থেকে রস বের করে তা ব্যবহার করা আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায় ।তাছাড়াও তেতুলের গুড়া, পেস্ট ও বীজের ও বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে।
তেতুলের পুষ্টিগুণ
স্বাদে টক-মিষ্টি তেতুলের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।প্রতি ১০০গ্রাম পরিমাণ তেতুলে কতটা কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে,চলুন দেখে নেই এক নজরে-
- ২.৩গ্রাম প্রোটিন
- ৬২.৩গ্রাম শর্করা
- ৫.১গ্রাম ফাইবার(আঁশ)
- ০.৬গ্রাম ফ্যাট(চর্বি)
- ১.৯মিলিগ্রাম নিয়াসিন(ভিটামিন বি৩)
- ১৪মাইক্রোগ্রাম ফোলেট(ফলিক অ্যাসিড)
- ৩.মিলিগ্রাম ভিটামিন সি
- ৬২৭মিলিগ্রাম পটাসিয়াম
- ৭৪মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
- ৯২মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম
- ২.৮মিলিগ্রাম আইরন
এছাড়াও আর ও অন্য বিভিন্ন পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তেতুলে যা আপনার শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারি।
কাঁচা তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা কাঁচা তেঁতুল খেয়ে থাকেন।কিন্তু কাঁচা তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না।আজকের আর্টিকেলের এই অংশে কাঁচা তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা করব।সুতরাং দেরি না করে চলুন জেনে নেই কাঁচা তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
- কাঁচা তেতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখে সাহায্য করে।
- ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় থেকে জানা যায়,কাঁচা তেতুলে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার উপাদান।এ ছাড়া তেতুলের বীজে রয়েছে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস মার্কারকে হ্রাস ও রেনাল সেল কার্সিনোমার অগ্রগতিকে ধীর করে দেওয়ার ক্ষমতা।এর ফলে শরীরে সেল উৎপাদনের হার কমে যায়।সেই সঙ্গে স্ট্রেস হরমোন ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- আপনার হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতে ও শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে কাঁচা তেতুল।কাঁচা তেতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড,যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ও ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।এতে এথেরোস্ক্লেরোসিসের (ধমনীতে চর্বির স্তর জমা)ঝুঁকি কমে যায়।
- যাদের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য বেশ উপকারী একটি খাবার হল কাঁচা তেতুলের রস। বিভিন্ন গবেষণায বলে,তেতুলে প্রোসায়ানিডিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে,যা লিভারের ক্ষতি হওয়া থেকে লিভার কে রক্ষা করে।
- কাঁচা তেতুলে রয়েছে জীবাণু রোধকারী ক্ষমতা।প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে তেতুলে রয়েছে বিভিন্ন উপাদান যা প্যাথোজেনিক অণুজীব থেকে আপনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- বিভিন্ন গবেষণা ও পুষ্টিবিদের দাবি,রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ উপকারী কাঁচা তেতুল। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য যা বিশেষ উপকারী।এছাড়াও মস্তিষ্ক ও হাড়ের রক্ষায় কাঁচা তেতুলের উপকারিতা রয়েছে।ভিটামিন বি ও ম্যাগনেসিয়ামের ভরপুর কাঁচা তেতুল ও হাঁড়ের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে ও তাদের রক্ষায় সাহায্য করে।
পাকা তেতুল খাওয়ার উপকারিতা
পাকা তেতুলের স্বাদ পছন্দ করেন না,বা নাম শুনলেই মুখে জল আসে না,এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।নারী পুরুষ নির্বিশেষে টক মিষ্টি স্বাদের পাকা তেতুল সবারই পছন্দের।কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা পাকা তেতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না।সুতরাং পাকা তেতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃআপনি যদি আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তাহলে নিঃসন্দেহে আপনি পাকা তেতুল বেছে নিতে পারেন।কারণ পাকা তেতুল আমাদের শরীরের চর্বি গলাতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে বলে খুব দ্রুত ওজন কমে যায়।তাই প্রতিদিন নিয়ম করে কিছু পরিমান পাকা তেতুল খাওয়া শুরু করতে পারেন।এতে করে আপনার অতিরিক্ত ওজন খুব দ্রুত কমে যাবে এবং আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আরো পড়ুনঃ অড়হর ডাল খাওয়ার ৭টি উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের শরীরের সকল ধরনের রোগের সাথে যুদ্ধ করে আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।আর যদি কোনক্রমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাহলে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে বা আমাদের শরীর অসুস্থ অনুভব করে।আর পাকা তেতুল আমাদের সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে অনেক বেশি সাহায্য করে।তাই আপনিও যদি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনিও প্রতিদিন পাকা তেতুল খেতে পারেন।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেঃআপনার যদি হজম জনিত কোন সমস্যা অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যর মত কোন সমস্যা থাকে।তাহলে আপনি এ ধরনের সমস্যা জনিত রোগের সমাধানের জন্য আপনি পাকা তেতুল ঔষধ হিসেবে বেছে নিতে পারেন।পাকা তেতুলে রয়েছে ম্যালিক এসিড ও পটাসিয়াম যা আমাদের হজম জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
চোখের সুরক্ষায়ঃআপনি জানলে অবাক হবেন,পাকা তেতুল আমাদের চোখের জন্য অনেক বেশি উপকারী।আপনার যদি চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়া জনিত কোন সমস্যা থাকে তাহলে এই সমস্যা দূর করতে পাকা তেতুল খেতে পারেন।কারণ পাকা তেতুলের মধ্যে রয়েছে এমন এক ধরনের যৌগিক উপাদান যা আমাদের চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়ার রোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং আমাদের চোখকে ভালো রাখে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃআপনি কি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনেক কিছু চিন্তা করছেন।হঠাৎ করে আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে যাচ্ছে আবার হঠাৎ করে ডায়াবেটিস কমে যাচ্ছে।এমন সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়েও কিছুতেই আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। যদি এমনটা হয় তাহলে আপনি পাকা তেতুলের বিচি খেতে পারেন যা আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে আনে যার ফলে সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃআমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যাদের শরীরের কোলেস্টরেল নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন।হয়তো মনে মনে ভাবছেন কিভাবে কোলেস্টেরল কমানো যায় বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।ঘরোয়া উপায়ে আপনার শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে চাইলে আপনি পাকা তেতুল খেতে পারেন।কারণ পাকা তেতুলের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ বা কমাতে সাহায্য করে থাকে।
হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাহায্য করেঃঅনেকেই আছেন বিভিন্ন রকম হার্টের সমস্যায় ভুগে থাকেন। হার্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আপনি যদি আপনার হার্টকে ভালো রাখতে চান এবং সকল ধরনের হার্টের রোগ থেকে দূরে রাখতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত পাকা তেতুল খেতে পারেন।পাকা তেতুলের মধ্যে থাকা পটাসিয়াম আমাদের শরীরের রক্তের চাপ কমিয়ে থাকে।এর ফলে আমাদের হার্ট অনেক বেশি সুরক্ষা থাকে।
সর্দি-কাশে নিরাময়ঃআপনার যদি ইমিনিটির অভাব থাকে তাহলে আপনার শরীরে সর্দি কাশি বেশি হতে পারে।সুতরাং সর্দি কাশি কমাতে চাইলে আমাদের শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বাড়াতে হবে।পাকা তেতুলে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা আমাদের শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। তাই সর্দি কাশি নিরাময়ে আপনি পাকা তেতুল খেতে পারেন এতে ভালো উপকার পাবেন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেঃক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতি একটি রোগ নিরাময়ে পাকা তেতুল হতে পারে একটি কার্যকরী উপায়।পাকা তেতুলের মধ্যে রয়েছে সক্সলেট মিথেনলিক এক্সট্রাক্ট যা প্রাণঘাতি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে সাহায্য করে।সুতরাং আপনি আপনার শরীরের ক্যান্সারে ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত পরিমাণমতো পাকা তেতুল খেতে পারেন।
চুলের যত্নেঃআপনি জানলে অবাক হবেন,যে পাকা তেতুল আমাদের চুলের যত্নে অনেক বেশি উপকারী।আপনার যদি চুল পড়া জনিত কোন সমস্যা থাকে,তাহলে আপনি পাকা তেতুলের রস নিয়মিত চুলের গোড়ায় লাগান।তাহলে এর ফলে চুলের গোড়ায় ফলিকের বৃদ্ধি ঘটবে।এতে করে আপনার চুল অনেক শক্তিশালী হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করেঃপ্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন উপজাতিরা ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধ করতে তেতুলের ব্যবহার করে আসছে।বিশেষ করে আফ্রিকান উপজাতিরা ম্যালেরিয়া দূর করার জন্য পাকা তেতুল খেয়ে থাকেন।তাই বলা যায় যে ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে পাকা তেতুলের ভূমিকা অনেক বেশি।
ভেষজ গুণঃপ্রাচীণ কাল থেকেই পাকা তেতুল বিভিন্ন রকম ভেষজ ওষুধ হিসেবে কাজ করে আসছে। হাতে-পায়ে জ্বালাপোড়া,বুক ধরফর করা,অথবা মাথা ঘোরানো এ সকল সমস্যার সমাধানে ক্ষেত্রেও পাকা তেতুলের ভূমিকা অনেক বেশি।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ততা কাটানোর জন্য অনেক বেশি উপকারী।নিয়মিত পাকা তেতুল খেলে হার্ট ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা কমানোর জন্য তেতুল গরম করে তার প্রলেপ ব্যথাকৃত স্থানে লাগালে ব্যথা খুব দূরত্ব সেরে যাবে।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা
আপনি যদি একজন গর্ভবতী মহিলা হয়ে থাকেন অথবা আপনার স্ত্রী অথবা আপনার পরিবারের কেউ, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকু দেখা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী।ইতিমধ্যে আপনাদের মাঝে কাঁচা ও পাকা তেতুলের খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
এখন গর্ভাবস্থায় তেতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব।আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না।চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় তেতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে প্রত্যেক টি গর্ভবতী মা জানতে চান।
অনেক সময় দেখা যায় সন্তান গর্ভে আসলে অনেক গর্ভবতী মায়ের টক খাওয়ার ওপর বেশি আগ্রহ হয়।কিন্তু এ সময় টক খাওয়ার আগ্রহ বেশি হয় কেন?তা অনেকেই জানে না।যখন সন্তান পেটে আসে তখন গর্ভবতী মায়ের বমি বমি ভাব বেশি আসে এবং খাবারের প্রতি অরুচি ভাব বেশি আসে।তখন গর্ভবতী মার শরীর ঘাটতি থাকে ফলে এই সময় যেকোনো কিছুর ওপর রুচি হারাতে থাকে।
এ অবস্থায় চিকিৎসকেরা তেঁতুল খেতে বলেন তেতুল খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব দূর হয় এবং খাওয়ার প্রতি রুচি বেড়ে যায়।গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার ফলে শরীরের পুষ্টি ঘাটতি থাকলে সেটা পূরণ হয়ে যায়। তেতুলে থাকা ভিটামিন সি প্রোজেস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করে যা হরমোন্ন এর ক্ষরণ কমায়।তবে মনে রাখতে হবে গর্ভাবস্থায় বেশি পরিমাণ তেতুল খাওয়া উচিত না।
অতিরিক্ত সবকিছু আমাদের জন্য ক্ষতিকর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তেঁতুল খেলে গর্ভবতী মহিলার গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।আশা করি বুঝতে পারছেন গর্ভাবস্থায় তেতুল খাওয়ার উপকারিতা কি সেই সম্পর্কে।গর্ভাবস্থার সময়টা সবার জীবনে অধিক গুরুত্বপূর্ণ সময়।তাই এই সময়টা অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখেন।
নিজের উপর অবহেলা করবেন না।এই সময়টাতে আপনি আপনার যত্ন ভালো করে নিবেন।মনে রাখবেন আপনার পেটে থাকা সন্তান এর ভালো থাকাটা আপনার উপর নির্ভরশীল।সুতরাং আপনি নিজের উপর যত্নশীল হলে আপনার গর্ভে থাকা সন্তান ভালো ও সুস্থ থাকবে।গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।এতে করে আপনি জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া আপনার জন্য ঠিক কিনা এ ব্যাপারে।
তেতুলের বিচির উপকারিতা
আপনাদের মাঝে ইতিমধ্যে কাঁচা পাকা এবং গর্ব অবস্থায় তেতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।সুতরাং আশা করা যায় আপনি তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।
টক মিষ্টি স্বাদের তেতুল আমরা সকলেই খাই এবং তেতুলের বিচি ফেলে দেই কিন্তু আপনি কি জানেন?তেতুলের বিচি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকার করে।উপরের আলোচনা থেকে আপনারা সকলেই তেতুল আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা জেনেছেন।এখন জানব তেতুলের বিচি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী সে সম্পর্কে।
- দাঁতের জন্য বেশ উপকারী এটা বলা হয় যে আপনার দাঁতের মাড়ি এবং দাঁতে তেতুলের বিচির গুড়ো ঘষলে প্রভাব থাকতে পারে।বিশেষ করে যারা প্রচুর ধূমপান করেন তাদের জন্য কমল পানীয়ের অত্যাধিক ব্যবহার এবং ধূমপানের ফলে টার্টার এবং প্লেক হতে পারে।তেতুলের বিচির গুড়ো সঠিক ভাবে দাঁত পরিষ্কার করলে এ ধরনের সমস্যা সমাধান মিলে।
- তেতুলের বিচির রস বদহজম নিরাময় এবং পিত্ত উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে পরিচিত।অধিকন্ত এটি খাদ্যগত ফাইবার সমৃদ্ধ যা কোলেস্টেরল হ্রাস করে।ফাইবার আপনার পরিপাকতন্ত্রের উন্নতিতেও সাহায্য করে।
- তেতুলের বিচি আপনার ত্বককে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।তাছাড়াও এটি আপনাকে অন্ত্র এবং মূত্রনালী সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
- তেতুলের বিচি অগ্ন্যাশয়কে রক্ষা করে যা ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষের আকার বাড়ায়।জল পান করার রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তেতুলের বিচি।
- তেতুলের বিচি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে তেতুলের বিচি খাওয়ার ফলে বীর্য ঘন হয় এবং শুক্রানুর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
- আপনার যদি রক্ত স্বপ্নদোষ থাকে লজ্জায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারছেন না।তাহলে স্বপ্নদোষের এই সমস্যায় আপনি তেঁতুলের বিচি খেতে পারেন। এ সমস্যায় তেতুলের বিচি যাদু করি প্রভাব ফেলে এবং তেতুলের বিচি খাবার ফলে স্বপ্নদোষের সমস্যা অনেকটাই কেটে যায়।
- তেতুলের বিচি খেলে শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
- মহিলাদের জলবায়ুর শক্তিবর্ধনের তেতুলের বিচির ভূমিকা অনেক বেশি।
- আমাদের শুষ্ক চোখের জন্য যে ড্রপ তৈরি করা হয় তা সাধারণত তেতুলের বিচি দিয়ে তৈরি করা হয়।
- তেতুলের বিচি খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- তেতুলের বিচি বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ হিসেবে কাজ করে থাকে।
- গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব কাটানোর জন্য তেঁতুলের বিচির শরবত অনেক বেশি উপকারী।
তেতুলের বিচির অপকারিতা বা সতর্কীকরণঃতেতুলের বীজের অপকারিতা সম্পর্কে কোন তথ্য এখন পর্যন্ত আমি খুঁজে পাইনি।সে কারণে তেতুলের বিচির অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের মাঝে কোন তথ্য তুলে ধরতে পারলাম না।সুতরাং তেতুলের বিচি খাওয়ার পর যদি কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাতে পারেন কমেন্টের মাধ্যমে।পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে মতামত প্রদান করার চেষ্টা করব।
ওজন কমাতে তেতুল খাওয়ার নিয়ম
ইতিমধ্যে আপনাদের মাঝে তেঁতুল খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।এবং তেতুলের বিচির বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে আপনি জানতে পারছেন।এখন আর্টিকেলের এই অংশে ওজন কমাতে তেতুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।আমরা অনেকেই জানি তেতুল ওজন কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
কিন্তু কিভাবে করে তা আমরা অনেকেই জানিনা।কিভাবে তেতুল খেলে অতিরিক্ত ওজন কমবে? তখন আমাদের মাথায় এ ধরনের প্রশ্ন আসে যেমন ওজন কমানোর জন্য কাঁচা তেঁতুল খাব নাকি পাকা তেতুল খাব।কখন খাওয়া উচিত সকালে নাকি রাতের বেলায় সরাসরি তেতুল খাব নাকি শরবত করে খাব। আপনার মনেও যদি এ ধরনের প্রশ্ন আসে।
তাহলে আপনি আপনার অতিরিক্ত চর্বি কমানোর জন্য তেতুল দিয়ে তৈরি কিছু পানিও খেতে পারেন এতে আপনি ভাল উপকৃত হবেন।যে সকল পানীয় পান করার ফলে খুব দ্রুত আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।এখন আপনাদের মাঝে তেতুল দিয়ে পানিও কিভাবে তৈরি করব তা বিস্তারিত নিচে আলোচনা করব।সুতরাং আর্টিকেলের এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তেতুল ও পুদিনা পাতাঃতেতুল দিয়ে তৈরি একটি কার্যকারী পানীয় হচ্ছে তেতুল ও পুদিনা পাতার পানীয়।এই পানীয় তৈরি করতে আপনি আধা কাপ তেতুল চটকিয়ে রস বের করে নিবেন।তার সাথে এক চিমটি বিট লবণ মেশান এবং আধা চা চামচ গুড় নিয়ে মেশান।এবার সব কয়টি উপাদান দুই গ্লাস পানি দিয়ে একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। তৈরি হয়ে গেল তেতুল দিয়ে তৈরি ওজন কমানোর একটি পানীয়। দিনের বেলায় যে কোন সময় আপনি পান করতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরের থাকা অতিরিক্ত চর্বি খুব দ্রুত কমে যাবার ফলে আপনার ওজন কমে যাবে।
তেতুল জিরা ও তুলসী পাতার পানীয়ঃএ পানীয় তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে আধা কাপ তেতুল ভালোভাবে চটকে নিতে হবে ১০থেকে ১২টি তুলসী পাতা এর সাথে নিন।এর ভিতরে আধা চা চামচ জিরার গুড়া দিন ও এক চিমটির লবণ এবং এক চা চামচ গুড় দিতে হবে। এরপর সবগুলো উপকরণ একটি ব্লেন্ডারের দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
তৈরি হয়ে গেল ওজন কমানোর পানীয় এই পানিও আপনি দিনের যেকোনো সময় খেতে পারেন। আপনি আপনার অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য তেতুল দিয়ে তৈরি এই দুটি পানির মধ্যে যেকোনো একটি পানীয় প্রতিদিন নিয়ম মেনে খেতে পারেন।এতে করে আপনার অতিরিক্ত চর্বি কমে যাবে যার ফলে আপনার ওজনও কমে যাবে।আপনি যদি এই দুটি পানীয় মধ্যে যেকোন একটি নিয়ম করে সেবন করেন তাহলে ওজন কমানোর জন্য আপনাকে খুব বেশি ব্যায়াম কিংবা ডায়েট চার্ট ফলো করতে হবে না।
সতর্কীকরণঃআপনার যদি গ্যাসের সমস্যা জনিত কোন সমস্যা থাকে।তাহলে অবশ্যই এ পানীয় অতিরিক্ত পান করা যাবে না।তাই এ পানীয় প্রথম দিকে অল্প পরিমাণ পান করে দেখবেন আপনার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা যদি কোন প্রকার সমস্যা হয় তাহলে এ পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন।
তেঁতুল খেলে কি প্রেসার কমে
যে সকল বাড়িতে প্রেসারের রোগী আছে সে সকল প্রতিটি বাড়ির কোনায় কিছু পরিমাণ পাকা তেঁতুল পাওয়া যাবে।যখন প্রেসারে রোগীর প্রেসার বেড়ে যায় ঠিক তখন সেই রোগীকে পাকা তেতুলের রস বের করে খাওয়ানো হয়।আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা মনে করেন প্রেসারের রোগীর প্রেসার কমাতে তেতুলের রস অনেক বেশি সাহায্য করে।
কিন্তু আসলেই প্রেসার কমাতে কতটুকু সাহায্য করে।কারো কাছে কি এটির প্রমাণ আছে!না এর কোন প্রমাণ নেই।কারণ এটি একটি ভিত্তিহীন কথা।সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রেসার কমানোর জন্য তেতুলের রস কোন উপকারে আসে না।তেতুল আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান করে।
ঠিক কিন্তু প্রেসার উঠার সাথে সাথেই আপনি তেতুলের রস খাওয়ালে প্রেসার কমে যাবে এটি একটি ভুল ধারণা।সুতরাং আপনার ও যদি ধারণা এরকম হয় তাহলে আজকে থেকে এ ধারণা পাল্টে ফেলুন।আর রোগীর প্রেসার বাড়ার সাথে সাথে তেতুলের রস খাওয়ানোর অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন।
ছেলেরা তেতুল খেলে কি হয়
ছেলেদের মাঝে মেয়েদের তুলনায় তেতুল খাওয়ার প্রবণতা কম লক্ষ্য করা যায়।ছেলেরা সাধারণত তেতুল খেতে খুব একটা পছন্দ করে না।মেয়েদের পছন্দের তালিকায় তেতুল প্রথম লিস্টে থাকলেও ছেলেদের ক্ষেত্রে এটা হয় না।টক জাতীয় খাবার খেতে একটু কম পছন্দ করে থাকে।কিন্তু সকলেই যে একই রকম তা কিন্তু নয়।
কিছু কিছু ছেলে আছে যারা টক জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে তাদের মাঝে এটা লক্ষ্য করা যায় যে তারা তেতুল খেয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে।আপনিও যদি এমনটা হন তেতুল যদি পছন্দ করে থাকেন তাহলে আজকে থেকে সাবধান হয়ে যান।কারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে তেতুল খাওয়ার সমস্যা সৃষ্টি হয় না করলেও ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি তেতুল খাওয়া সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে।
বিভিন্ন চিকিৎসায় দেখা গেছে যে, ছেলেরা যদি বেশি পরিমাণে তেঁতুল খায় তাহলে তাদের স্প্যাম কমে যেতে পারে।তাই অবশ্যই ছেলেরা তেঁতুল খাওয়ার পূর্বে একটু ভেবে শুনে তেঁতুল খাবেন।
তেঁতুল খাওয়ার অপকারিতা বা সাবধানতা
ইতিমধ্যেই আপনাদের মাঝে কাঁচা পাকা এবং গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা এছাড়াও তেতুলের বিচি উপকারিতা সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।আর্টিকেলের এই অংশে তেতুল খাওয়ার অপকারিতা বা সাবধানতা সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব।
- মাত্রাতিরিক্ত তেতুল খেলে রক্তের সিরাম,গ্লুকোজের মাত্রা কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ প্রতিদিন ১০ গ্রামের বেশি তেঁতুল খাওয়া উচিত না।ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই তেতুল খেতে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
- কিছু কিছু ওষুধ আছে যেসব ওষুধ সেবনের সাথে তেঁতুল খেলে মারাত্মক ক্ষতি করবে অ্যসপিরিন,ইবুপ্রোফেন,ন্যাপ্রোক্সিন এর মতো নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ড্রাগ,অ্যান্টি-প্লাটিলেগ ড্রাগ ও রক্ত পাতলা করার মেডিসিন,যেমন-হেপারিন,ওয়ারফেরিন ইত্যাদি।তাই যারা তেতুল খেতে অভ্যস্ত তারা ওষুধ সেবনের সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- তেঁতুল খাওয়ার প্রভাবে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে কিছু মানুষের মাঝে চুলকানি, ইনফ্লোমেশন, অজ্ঞান হওয়া,বমি ও শ্বাসকষ্ট হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।তাই তেঁতুল খেলে যাদের এরকম অসুবিধা মনে হয় তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
- তেতুলে রয়েছে উচ্চমাত্রায় এসিড তাই নিয়মিত মাত্রাতিরিক্ত তেঁতুল খেলে শরীরের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়।
- তেতুলে অ্যাসিড বেশি থাকে। তাই অনেক সময় তেঁতুল খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যায় পড়তে পারেন।
- যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের তেতুল খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- তেতুল যেহেতু রক্তচাপ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে তাই নিম্ন রক্তচাপ যাদের রয়েছে,তাদের তেতুল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
- কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থাকলে বা এর জন্য যদি কোন ওষুধ খেয়ে থাকেন তবে অবশ্যই তেঁতুল এড়িয়ে চলুন।
- একটি গবেষণায় গবেষকেরা প্রমাণ দিয়েছে যে,বেশি পরিমাণ তেতুল খেলে পিত্তথলিতে পাথর সৃষ্টি হয়।ফলের জন্ডিস, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, লিভার ও পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা হতে পারে।
পরিশেষে লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ে আশা করি তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও গর্ভাবস্থার তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা এবং তেঁতুল খাওয়ার সাবধানতা সম্পর্কে আপনাদের একটি ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত যে কোন কিছু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে তাই পরিমাণ মত খাবেন।প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ করে দিন।এমন আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে ওয়েবসাইটটি ফলো করে সাথেই থাকুন।ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url